বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ । এদেশে বিরাজমান প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন অঞ্চলভিত্তিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং কেন্দ্রমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে অঞ্চলভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলই ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে স্বকীয় বা অনন্য। এই নিজ ঐতিহ্য, স্বাতন্ত্র্যবোধ এবং আবহমান সংস্কৃতিকে স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার মাধ্যমে একটি জেলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে জেলা ব্রান্ডিং এর লক্ষ্য। দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী ও উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ হিসেবে ঐতিহ্যের বগুড়া দখল করে আছে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুন্ড্রবর্ধনই হচ্ছে এ বগুড়া জেলা। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি রাজাদের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল প্রাচীন জনপদ বগুড়া। জেলার সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিবেচনা করে জেলা ব্রান্ডিং হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ঐতিহাসিক পুণ্ড্রনগর মহাস্থানগড়কে।
যমুনা, করতোয়া, বাঙালী ও নাগর নদ বিধৌত এ জেলার ঐতিহ্যবাহী দই, লাল মরিচ, আঠালো আলু ও কৃষি যন্ত্রপাতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি লাভ করেছে। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন আকর্ষণ যেমন মহাস্থানগড়, শীলাদেবীর ঘাট, খেরুয়া মসজিদ, শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রঃ) এর মাজার, জিয়ৎ কুণ্ড, গোকুল মেধ, উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি ও ভাসু বিহার এ জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক। বাঙালি ঐতিহ্যের মধ্যে পোড়াদহ মেলা ও ৪৫৭ বছরের পুরোনো কেল্লাপোষী মেলা উল্লেখযোগ্য।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS