Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বেহুলা লক্ষিনদর (গোকুল মেধ)
স্থান

বগুড়া সদর উপজেলা

কিভাবে যাওয়া যায়

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে যানবাহন যোগে যাওয়া যায়

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

 

 
কিভাবে যাওয়া যায়: 
বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে যানবাহন যোগে যাওয়া যায়

বগরা খাঁর নাম অনুসারে বগুড়া সদর উপজেলার নাম। উত্তর বংগের একটি প্রাচীন জনপদ। করতোয়া নদীর সংলগ্ন যে ভূমিটি ছোট জনপদ। ব্যবসা বানিজ্যিরের তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলা হিন্দু আমল, সুলতানী আমল, নবাবী আমল, বিটিশ আমল ও পাকিস্তান আমল পেরীয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত সদর উপজেলার ইতিহাস-বৈচিত্র্যের ইতিহাস, বহু শাসকের উথান-পতনের ইতিহাস, অত্যাচার, শুশনের ইতিহাস সব মিলিয়ে সদর উপজেলার ইতিহাস ঐতিহাসিক ভূমিকা অনির্বায ভাবে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাড়াই। এ বিশাল ইতিহাসের পরিধীতে করতোয়া স্রত সদর উপজেলা ভূমিতে জম্মগ্রহণ করেছেন প্রোথিতযশা অনেক কবি সাহিত্যিক তাঁদের রচনা কর্মে একদিকে যেমন এ উপজেলার গৌরবময় ভূমিকাকে উজ্জল করেছে, তেমনি এদেশের সাহিত্যিাঙ্গনকে করেছে গতিশীল ও সমৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, উপজেলার প্রাচীন কালে কবি সাহিত্যিকদের রচনাবলীর দ্বারা যেমন আমরা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বার বার ফিরে পাই। তেমনি আধুনিক কালে কবি-সাহিত্যিকদের রচনাবলী দেশের তথা সাহিত্যের বিশ্ব-ইতিহাস অনুসন্ধানে আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করে। অতিত ও বর্তমানে এ মহামিলনের মধ্যে সেতু রচনা করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সকল ইতিহাস একদিন বিস্মৃতির অন্ধকারে নিমির্জ্জিত হবে। ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন এ কথা শুধু মুখে বলেই হবে না। সঠিক ইতিহাস রচনার মাধ্যমে তাকে বাচিয়ে রাখতে হবে। বিকৃত ইতিহাসের মধ্যে নয়।

মধ্যে যোগের কবিদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের কবি জীবনকৃঞ্চ মৈত্র। তিনি বাংলা সাহিত্যির ইতিহাসে মনসা মঙ্গলের কবি হিসাবে পরিচিত। জীবন কৃঞ্চ মৈত্রের কাব্যেবের নাম ‘‘ পদ্ম পুরন’’, এতে চাঁদসওদাগর মনসা, বেহুলা লক্ষিদরের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কবিতার বংশ পরিচয় দিয়েছেন এভাবে শ্রী বংশীবদন মৈত্র নাম মহাশয় চৌধুরী অনন্তরায় তাহার তয়ন/অনন্তনন্দন কবি শ্রী মৈত্র জীবন/লাহিড়ীপাড়াতে বরেন্দ্র ব্রাক্ষ্মণ, তিনি পাগল জীবন নামে পরিচিত ছিলেন। নিজস্ব কাব্য প্রতিভার দ্বারা জীবন মৈত্র সাহিত্যিতের ইতিহাসে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। সে গৌরবের অংশিদার এ উপজেলা বাসীও। ডাঃ কহরউল্লাহ পেশায় ছিলেন হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক। তাঁর জন্ম স্থান গোকুলের রামশহরে। তিনি ‘‘মহাস্থান’’ নামে যে ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখেছেন তাতে মহাস্থান গড়ে ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞ্যাত হওয়া যায়।

বিটিশ আমলে মধ্যভাগে সদর উপজেলায় বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ প্যারীশঙ্কর দাস গুপ্ত প্রায় ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেন। সামাজিক উপনাস, ধর্মীগ্রন্থ এবং চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ অন্যতম। তিনি ১৯৫৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৩১ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর গ্রন্থ গুলোর নাম আর্য-বিধবা, কমলিনি, ফুল ও মুকুল, প্রতাপসিং, যমুনা, রত্নকার, গ্রাসী, কর্ণ, লক্ষী, অর্জুন, প্রহলাদ, উষা, প্রসাদ, গীতা ও কুঠির, কৃঞ্চাশ্রম, সংগ্রামসিং, স্ত্রীশিক্ষা, রাধা চিকিৎসা বই-ওলাওঠা। দত্তবাড়ীর মোড় থেকে নামাজগড় মোড় পর্যন্ত পশ্চিম মূখী রাস্তাটি তাঁর নামানুসারে ডাঃ প্যারীশঙ্কর স্ট্রিট নামে পরিচিত।

শুজাত আলী শেখেরকোলা ইউনিয়নের তেলিহারা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর লিখা শিশু তোষ গ্রন্থ, চাঁদের হাট এ সময়ে সদর উপজেলায় ২জন কবি খ্যাতি অর্জন করেন তাঁরা হলেন কবি রোস্তম আলী কর্ণপুরী এবং কবি কে.এম সমসের আলী। কবি কর্ণপুরী আমৃত্যু সাহিত্যকে ভালো বেসে গেছেন। কোন সাহিত্যি সভায় ডাক পড়লে শুদুর গ্রাম কর্ণপুর থেকে পায়ে হেটে চলে আসতেন। সদর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে এ মানুষটি কাব্য ভাষায় নিজেকে উজাড় করে দেন। খেলাফত ও কংগ্রোস আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ‘‘ বিশ্ব নবী’’ বগুড়ার ফুলমাঞ্চ’’ সোহরাব-রোস্তম সহ অনেক গ্রন্থ রচিতা তিনি। সোহরাব-রোস্তম কাব্যখানি অমৃত্রিাক্ষর ছন্দে রচিত। তাঁর কবির তার মধ্যে নজরুলের প্রভাব বিদ্যমান। রবিন্দ্র নাথ প্রভাবিত আরেক কবি কে. এম সমসের আলী এ উপজেলার মন্ডলধরন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় থেকে তিনি কাব্য রচনার প্রয়াস পান। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘‘ আলিঙ্গন’’ ছাত্র জীবনে প্রকাশ পায়। ‘‘ স্বাক্ষর’’ সনেট গ্রন্থ এবং অল্প সময়ে তিনি ‘‘ সনেট বিশারদ’’ হিসাবে সারা দেশে শুনাম অর্জন করেন। ‘‘ কল্লোল’’ আর একটি সনেট সংকলন।  আধুনিক কবিতা, যাকে অনেকে গদ্য-কবিতা বলে আখ্যায়িত করেন। সেই গদ্য কবিতা লিখার প্রচেষ্টার স্বাক্ষর তাঁর আর একটি  গ্রন্থ ‘‘রমনার কবি’’। তিনি কাব্যে একটি নিবেদিত প্রাণ কবি ছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ১৭ এপ্রিল পরলোক গমন করেন। তিনি বাংলা একাডেমীর পুরস্কার ও লাভ করেন।

রমেনা আফাজ ১৯২৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। মুরত ‘‘ দস্যুবনহুর’’ সিরিজ কাহিনী লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু উপনাস রচনাতেও তাঁর ছিল সমান দক্ষতা। ‘‘ বনহুর সিরিজের মোট সংখ্যা ১৩২টি। ‘‘দস্যুরানী সিরিজ ১২টি। উপনাসের সংখ্যা ৬০টি। ‘‘ কাগজের নৌকাসহ প্রায় ৬টি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। ‘‘ মান্দীগড়ের বাড়ী নামক একটি কিশোর উপন্যাসও তিনি লিখে ছিলেন। সাহিত্যতে নিবেদিত প্রাণ রমেনা আফাজ ২০৩ সালে লোকান্তরিত হন।

তাজমিলুর রহমানের জন্ম ১৯২৫ সালে। তিনি নাট্যকার হিসাবে সুপরিচিত। তাঁর রচিত কয়েকটি নাটকের মধ্যে অন্যতম কলির জিন, ভাই, রুপচাঁন, সুবেহ, উম্মিদ, কারিগর, অনেক আধারা পেরিয়ে, টোবযেমন খুশি সাজো। কিশোরদের জন্য লিখেছেন উপন্যাস-জুলফিকারের অভিযান, সুন্দরবনের জুলফিকার, ভুতের কবলে জুলফিকার। রম্যরচনা-অমৎসর, লঘুগুরু। তাঁর রচিত প্রবন্ধ গন্থের নাম প্রবন্ধ সংগ্রহ।

ড. মমতাজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। ইতিহাস বিষয়ক বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রনেতা। ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। তিনি সদর উপজেলার মেঘাগাছা গ্রামে ১৯২৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।

মাফরুহা চৌধুরী ১৯৩৬-এ নাটনারপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি কবি তালিন হোসনের স্ত্রী এবং প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী শবনাম মোস্তারীর মাতা। মুলত গল্পকার হিসাবে তিনি খ্যাত। অরণ্যগাধা ও অন্যান্য গল্প, সম্মিলিত নক্ষত্র সহ প্রায় ১০টি গ্রন্থ ২টি উপন্যাস এবং ৩টি কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন। প্রবন্ধ গ্রন্থ-ক্রান্তিকালের ছায়া, সঙ্গ-প্রসঙ্গ, শিশুতোষ রচনা, একটি ফুলের জন্য, পানির কখনও আগুন লাগে, তাঁর ২টি বঙ্গনানুবাদ আছে।

 

ববিউল আলম ১৯৪৮ সালে সদর উপজেলার বারবাঘপুর জন্ম গ্রহণ করেন। নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা এবং গল্পকার। চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। তাঁর অনেক গুলো নাটক বেতার ও টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। টেলিভিশন ও বেতারের উল্লেখ যোগ্য নাটক-নাপুস, সমাপ্তি অন্য রকম, একযেছিল দুই হুজুর, কখন সৈকতে, আর একজন রাবেয়া, প্রবাসী, সবুজিয়া, বিপ্রতিপ, আমি যখন বন্দী, এক সকালে, যার সাথে যার, উল্টোফাদ, একজন মিশার ঈদ, তোমরা-আমরা ইত্যাদি।